বাড়ির পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ বহিস্কৃত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে : পলাতক অভিযুক্ত

29th December 2020 7:46 am বর্ধমান
বাড়ির পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ বহিস্কৃত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে : পলাতক অভিযুক্ত


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : কাঁকসার  বিরুডিহায় দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে ভয় দেখিয়ে বাড়ির পরিচারিকাকে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠলো বিরুডিহায় বাসিন্দা শিক্ষক তথা বহিষ্কৃত বিজেপির ৪ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি কালুরাজ ঘোষ এর বিরুদ্ধে ।
নির্যাতিতা কিশোরীর অভিযোগ গত প্রায় ৬ মাস ধরে নানান হুমকি দিয়ে লাগাতার তাকে ধর্ষণ করে আসছে কালুরাজ ঘোষ। নির্যাতিতা আরও জানায় অভিযুক্তের স্ত্রী যখনই বাড়ির বাইরে কয়েকদিনের জন্য  যেতেন তার পরেই ঘরে একা পেয়ে তার উপর অত্যাচার চালাতো অভিযুক্ত। গতকাল তাকে ফের ধর্ষণের চেষ্টা করলে বাধ্য হয়ে নির্যাতিতা তার পরিবার কে জানে।
নির্যাতিতার পিতার অভিযোগ মেয়ে ভয়ে কিছু জানতো না। গত প্রায় ৮ বছর আগে পেশায় ক্ষেত মজুর কাঁকসার শোকনার বাসিন্দা তার মেয়েকে অভিযুক্ত কালু রাজ ঘোষের বাড়িতে পরিচারিকার কাজে পাঠায়।
 মেয়ের কাছে নির্যাতনের ও ধর্ষণের ঘটনায় খবর পেয়ে কাঁকসা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। নির্যাতিতা ও তার পরিবার অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবি  জানিয়েছে । ঘটনার খবর পেয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন গ্রামবাসীরাও । ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তির কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সকলে । অপর দিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী। দেবদাস বাবু বলেন থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে  আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যদিও পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘরুই জানিয়েছেন , অভিযুক্ত কালুরাজ ঘোষ বিজেপি দলের কর্মী ছিলেন । তবে তাকে অনেকদিন আগেই দল বহিস্কার করেছে। ফলে এই ঘটনায় দল কোনো ভাবেই তার পাশে নেই । দলের সাথে ওর কোনো রকম সম্পর্ক নেই। যে দোষ করবে সে শাস্তি পাবেই। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকা ছেড়ে পালায় অভিযুক্ত কালুরাজ ঘোষ। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।